Ticker

6/recent/ticker-posts

অনলাইন বিজনেস গাইডলাইন - ফেসবুকে সফলভাবে ব্যবসা করবেন কিভাবে?

অনলাইন-বিজনেস-গাইড


আপনি কি অনলাইনে নিজের একটি ছোটখাট ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন এবং ফেসবুকে আপনার ছোট ব্যবসায়ের প্রচার ও প্রসার করতে চাচ্ছেন? তাহলে অনলাইন বিজনেস গাইডলাইন সম্পর্কিত এই লিখাটি আপনার জন্যই ! এখানে আপনি পাবেন ফেসবুকে বিজনেস করার কৌশল ও এ সংক্রান্ত সকল পরামর্শ। কাস্টমার বা গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এবং পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধি করার জন্য এই ফেসবুকে ব্যবসা করার নিয়ম গুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ফেসবুকে সফলভাবে ব্যবসা করবেন কিভাবে?


ফেসবুক পেইজের প্রচারের মাধ্যমে আপনি যত বেশি লোকের কাছে পৌঁছাতে পারবেন, তত বেশি পণ্য আপনি বিক্রি করতে পারবেন। সুতরাং, কীভাবে বিনামূল্যে ফেসবুকে ব্যবসায়ের প্রচার করতে হবে সে সম্পর্কে এক ঝলক দেখি।

১. সঠিক পণ্য বা সেবা নির্বাচন করুন

কোন পণ্য নিয়ে ব্যবসায় শুরু করার পূর্বে সবার প্রথমে আপনাকে অনলাইনে সেই পণ্যের চাহিদা, বাজার কিংবা প্রতিযোগিতা কেমন সেই বিষয়ে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিশ্লেষণ করতে হবে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কেননা বাজার না বুঝে আন্দাজে ব্যবসায় নামলে লাভের চেয়ে লস হাওয়ায় সম্ভাবনাই বেশি।

বিভিন্ন ধরনের পণ্য হতে পরে - পোশাক, জুতা, ঘড়ি গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র, রান্নার সামগ্রী থেকে শুরু করে রান্না করা খাবার, কিচেন ও ডাইনিং আইটেম ইলেকট্রনিক জিনিস পত্র কিংবা সফটওয়্যার সহ আরো অনেক কিছু! এমনকি আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট কাজে দক্ষ হন, সেই কাজ দিয়ে সার্ভিসও দিতে পারেন কাস্টমারদের। কিন্তু অনলাইনে সেই পণ্য অথবা কাজের চাহিদা থাকতে হবে।

কী নিয়ে ব্যবসা করবেন নির্ধারণ করার পর কোন জিনিসের দাম কেমন হবে সেটাও প্রতিযোগী পেইজগুলোর সাথে ভারসাম্য রেখে নির্ধারণ করুন।

২. অনলাইন বিজনেস পেজ এ একটি চমৎকার কভার ফটো ব্যবহার করুন


এবার একটি ফেসবুক বিজনেস পেজ খুলুন এবং সব সেটিং কমপ্লিট করুন। বিভিন্ন লিংক থেকে অনেক ফেসবুক ব্যাবহারকারী আগ্রহের সাথে আপনার ফেসবুক পেইজটি ভিজিট করতে বা দেখতে আসে, তার পূর্বেই আপনাকে প্রস্তুত হতে হবে একটি আকর্ষণীয় কভার ফটো নিয়ে! যেন তারা দেখেই বলে উঠে - "বাহ ! চমৎকার! " এই কভার ফটোর প্রেমে পড়ে তারা পেইজ স্ক্রল করে নিচে যাবে এবং পেইজে আর কি কি আছে সেটা দেখতে চাইবে!

বেশ কিছু কারণে এই কভার ফটো ফেসবুক বিজনেস পেইজ এর খুব গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। উদাহরণস্বরূপ, এটিই প্রথম ফ্রি দৃশ্যমান জিনিস যা লোকেরা আপনার পেইজে ঢুকলেই দেখতে পাবে। আপনি বিনা পয়সায় এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন। সুতরাং এটি যতটা সম্ভব সৃজনশীল কভার ফটো ব্যবহার করুন যাতে আপনার ব্যবসায়ের গল্পটি ফুটে উঠে। এক্ষেত্রে আমাদের বিচিত্র জ্ঞান ফেসবুক পেজটি দেখে আইডিয়া নিতে পারেন। 

৩. পণ্যের সুন্দর ছবি ব্যাবহার করুন

অনলাইনে ক্রেতারা পণ্য সরাসরি দেখেন না, ছবি দেখেই কিনেন। তাই আপনার পণ্যের ছবি খুব ভাল মানের ও আকর্ষণীয় হতে হবে। এর অর্থ এই নয় যে আপনি এডিট করে পণ্যের আসল চেহারাই বদলে দিবেন! ছবির সাথে বাস্তবের মিল রেখে, পর্যাপ্ত আলোতে, সুন্দর ব্যাকগ্রাউন্ড এ ভাল ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলবেন। ছবি আকর্ষণীয় হবে, অতিরঞ্জিত নয়। পণ্যের মান ছবি দেখেই যেন ধারণা করা যায়।

৪. পোস্ট বা কন্টেন্ট এর লেখার মান বজায় রাখুন

প্রতিটি পোস্টে আপনার পণ্যগুলির ভাল মানের বিবরণ দিন যা গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। প্রত্যেক প্রোডাক্ট এর পেছনে আপনার প্রচেষ্টা ও পরিশ্রম দৃশ্যমান হওয়া উচিত।  
লেখার ভঙ্গি যথাসম্ভব সাবলীল রাখুন এবং আপনার টার্গেট কাস্টমারদের সম্পর্কিত বিষয়ে লেখার চেষ্টা করুন।  আপনার পণ্যগুলির বৈশিষ্ট্য বিস্তারিভাবে উল্লেখ করুন যাতে গ্রাহকরা এটি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পান এবং সহজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এটি কিনবেন কিনা। অনেকেই ইনবক্সে এসে বিস্তারিত প্রশ্ন করতে চান না। তাদের কথা মাথায় রাখুন।

আরো পড়ুন: 

 ৫. পেইজ থেকে লাইভে যান

অনেক গ্রাহক কেবল পণ্যের ছবি এবং বর্ণনার উপর বিশ্বাস রাখতে পারে না।  পণ্য বাছাই করার সময় তারা সরাসরি দেখা ও যোগাযোগ করতে পছন্দ করে।  লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আপনি সরাসরি আপনার গ্রাহকের সাথে ইন্টারেক্ট করতে পারেন।
আপনার লাইভ  সম্প্রচারের ঘোষণা দেওয়ার সময় একটি স্মার্ট শিরোনাম চয়ন করুন, কারণ এটি নোটিফিকেশন এর মাধ্যমে আপনার ফলোয়ার দের কাছে যাবে, এবং এটি দেখেই তারা লাইভ টি দেখতে আগ্রহী হবে। আর লাইভে ও অবশ্যই ভদ্র, শালীন পোশাক পরে আসবেন ও শুদ্ধ ও সাবলীলভাবে কথা বলবেন। অতিরিক্ত ন্যাকামো কিংবা ওভার স্মার্টনেস দেখাতে গিয়ে নিজেকে হাসির পাত্র বানাবেন না!

 ৬. গ্রাহকদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখুন

আপনার অনলাইন ব্যবসায়ের পেইজে অনেক ফ্যান- ফলোয়ার থাকলেই যে বিপুল পরিমাণে বিক্রয় হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই।  আপনাকে কাস্টমারদের সাথে খুব বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে হবে।  গ্রাহকদের সাথে নম্র এবং ভদ্র আচরণ অনলাইন বিজনেস কৌশল এর একটি অংশ।
"হাই!", "হ্যালো!", "জ্বী", "ঠিক আছে" এর মতো কেবল একটি বা দুটি আনুষ্ঠানিক শব্দ দিয়ে কথোপকথন শেষ করবেন না!  তাদেরকে গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করুন এবং তারা কী বলতে চাইছেন সেটা  মনোযোগের সাথে শুনুন।  তাদের সাথে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। এটি তাদেরকে পরবর্তীতে আরো জিনিস কেনার জন্য আপনার কাছে ফিরে আসতে অনুপ্রাণিত করবে।

গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ আরো স্বয়ংক্রিয় ও আধুনিক উপায়ে করতে চাইলে তৈরি করে নিতে পারেন একটি চ্যাটবট। চ্যাটবট আপনার শিখিয়ে দেয়া কাজগুলো করতে পারবে দ্রুত ও নির্ভুলভাবে, ম্যানেজ করবে লিডস, কাস্টমারদের কনভারসেশন অনুযায়ী করবে ক্লাসিফিকেশন, ক্রেতাকে উৎসাহিত করবে আপনার পণ্য ও সেবা ক্রয়ের ব্যাপারে সর্বোপরি আপনার অনলাইন ব্যবসার পথচলা হয়ে উঠবে অনেকাংশে মসৃণ।

কিভাবে চ্যাটবট তৈরি করবেন সেটাও কোন দুশ্চিন্তার ব্যাপার নয় এখন। এই কোর্সটি আপনার ফেসবুক পেইজের জন্যে একটি কাস্টমার বান্ধব চ্যাটবট তৈরি করতে শেখাবে। 

 ৭. গ্রাহকদের পর্যালোচনা ও সমালোচনা গুরুত্ব সহকারে নিন 

একজন ভাল ব্যবসায়ী গ্রাহকদের কাছ থেকে আসা নেগেটিভ রিভিউ কিংবা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াকে উড়িয়ে দেন না।  আপনার ব্যবসায়ের উন্নতির জন্য আপনাকে গ্রাহকের সমস্ত রিভিউ এবং পরামর্শ বিশ্লেষণ করতে হবে।  আপনি যদি তাদের পরামর্শকে সম্মান করেন তবে তারা সম্মানিত বোধ করবে এবং আপনাকে মনে রাখবে।  গ্রাহকরাই গ্রাহকদের নিয়ে আসে - তাই তারা কী পছন্দ করে বা অপছন্দ করে, আপনার কাছ থেকে তারা কী কিনতে চায়, কোন পণ্য আপনার থেকে কিনতে পারলে তারা খুশি হতো, তা জানার চেষ্টা করুন।  ব্যবসায়ের উন্নতির জন্য আপনার পরবর্তী পরিকল্পনায় এই তথ্যগুলি ব্যবহার করুন।

ব্যবসায় সফল হতে হলে গ্রাহকদের তথ্য বা ডাটা বিশ্লেষণ করে সামনে এগুনো অনেক জরুরি। তাই আপনাকে জানতে হবে কিভাবে ডাটা-র উপর ভিত্তি করে মার্কেটিং করলে ব্যবসা এগিয়ে যাবে, কিভাবে ডাটা ভিত্তিক টেকনোলজি ব্যবহার করে ব্যবসাকে আরও অটোমেট (স্বয়ংক্রিয়) করা যায়, স্কেল আপ করা যায় ইত্যাদি।

৮. আপনার ফেসবুক বিজনেস পেইজটি তথ্যবহুল করুন 

ফেসবুক পেইজে আপনার ব্যবসায় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সব তথ্য দিতে দ্বিধা করবেন না।  এতে করে যদি গ্রাহকরা গুগলে লোকাল বিজনেস (স্থানীয় ব্যবসায়) সার্চ (অনুসন্ধান) করে বা স্থানীয় ব্র্যান্ডের জন্য ফেসবুকে সার্চ করে, সেক্ষেত্রে আপনি অগ্রাধিকার পাবেন।
 আপনার থেকে প্রোডাক্ট কিনা কিংবা সার্ভিস নেওয়ার জন্য তারা আপনার পেইজে যোগাযোগের কি কি মাধ্যম উল্লেখ আছে  তার সন্ধান করবে।  ফোন নম্বর, ইমেল বা ওয়েবসাইটের মতো বিভিন্ন ধরণের যোগাযোগের মাধ্যম উল্লেখ করুন যাতে তারা তাদের পছন্দের মাধ্যমটি ব্যবহার করে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে।  এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উত্তর(রিপ্লাই) দেওয়ার চেষ্টা করুন।

 ৯. ফেসবুকের ম্যাপ এ আপনার লোকেশন সংযুক্ত করুন

ফেসবুক একটি গুগল এপিআই ব্যবহার করে যাতে এটি ব্যাবহার করে আপনি যে জায়গাগুলিতে গিয়েছেন সেখানে নিজেকে চিহ্নিত করতে পারেন, নিজের অবস্থান জানতে পারেন।  ফেসবুকের এই বৈশিষ্ট্যটি "চেক-ইন" নামে পরিচিত।
আপনি হয়ত এই অপশনটি অনেক সময় ব্যবহার করেছেন, কিন্তু আপনার ব্যবসায়ের এটির ভূমিকা বা গুরুত্ব সম্পর্কে জানেন না। 
এই "চেক ইন" অপশনটি  স্থানীয় ব্যবসায়ের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।  যখনই কোনও গ্রাহক "চেক ইন" করেন, ফেসবুক তাকে স্থানীয় অনলাইন ব্যবসা কিংবা কোন ব্র্যান্ড এর বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে।  তবে এই অপশনটি কেবল স্থানীয় ব্যবসায়ের জন্যই উপযোগী যা ফেসবুকের ‘Local business or place' ক্যাটাগরির অন্তর্ভূক্ত।  লোকাল কাস্টমার বা স্থানীয় গ্রাহকদের ধরে রাখার জন্য আপনি কিছু মূল্যছাড় বা অফার রাখতে পারেন।

 ১০. ফেসবুকের "Story" অপশনটি ব্যবহার করুন

যখন আপনার কাছে পেইজে পোস্ট করার মত নতুন কোন পণ্য নেই, এর অর্থ এই নয় যে আপনি কিছুই না করে বসে থাকবেন! ফলোয়ার দের নিয়মিত ধরে রাখতে ফেসবুক আপনাকে দিচ্ছে "স্টোরি" শেয়ার করার অপশন। 
পেইজের স্টোরিতে দিতে পারেন আপনার ব্যবসায়ের পেছনের কোন গল্প অথবা ছবি, ছোট্ট একটু ভিডিও অথবা গ্রাহকদের জন্য একটি ছোট্ট প্রশ্ন দিয়ে " Pull" তৈরি করতে পারেন যাতে তারা ভোট দিবে। এটি খুবই কার্যকরী একটি ফ্রি ফেসবুক বিজনেস কৌশল যা গ্রাহক ধরে রাখবে। অথচ এর জন্য খুব বেশি পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না, শুধু একটু বুদ্ধি প্রয়োজন।

 ১১. আপনার ব্যবসায় নিয়ে সুনির্দষ্ট পরিকল্পনা করুন এবং সময়কে কাজে লাগান

সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া কোনও পদক্ষেপই নেবেন না, এমনকি একটা ছোট্ট পোস্ট দিতে হলেও প্ল্যান মাফিক দিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব বেশি সময় নষ্ট করবেন না।  একটা নির্দিষ্ট রুটিন মাফিক ব্যবসায় পরিচালনা করতে "কন্টেন্ট ক্যালেন্ডার" অনুসরণ করুন।

এটি ব্যবহার করে আপনি পরিকল্পনা মোতাবেক দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে পোস্ট করতে পারবেন। "কন্টেন্ট ক্যালেন্ডার" আপনার সেট করা শিডিউল অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওই নির্দিষ্ট সময়ে পোস্ট করবে, আপনি ফেসবুক এ না থাকলেও।  আপনাকে কেবল গ্রাহকদের কমেন্ট (মন্তব্য) এর রিপ্লাই দিতে হবে। 

 ১২. যখন আপনার ফলোয়াররা একটিভ থাকে তখন পোস্ট করুন

ফেসবুক ইনসাইটস ফিচারটি আপনাকে জানিয়ে দেবে দিনের নির্দিষ্ট কোন সময় টিতে গ্রাহকরা যখন সবচেয়ে বেশি সক্রিয়( একটিভ) থাকে।  এই সময় পোস্ট করলে বেশি মানুষ দেখবে । তবে এই টাইমে অন্য ব্যবসায়ীরাও পোস্ট করবে দেখে আপনার প্রতিযোগিতা বাড়বে আর অনেক পোস্ট এর ভিড়ে আপনারটি হারিয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি গভীর রাতে কিংবা শেষরাতে পোস্ট দিতে দেখতে পারেন যাতে কাস্টমাররা ভোরে ঘুম থেকে উঠে লগ ইন করেই আপনার পোস্ট দেখতে পায়! 

১৩. বিজ্ঞাপন এবং বুস্ট করা পোস্টের জন্য 'Custom Audience'  অপশন ব্যবহার করুন

পেজের বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য আপনার বিশাল বাজেটের দরকার নেই। আপনার পোস্টগুলি সঠিক লোকের সামনে পৌঁছাতে আপনার কেবল একটি টার্গেট ভিত্তিক কৌশল প্রয়োজন।

আপনার বিজ্ঞাপন এর পিছনে স্বল্পব্যয়ে অধিক রিটার্ন পাওয়ার সহজ উপায় হ'ল কাস্টম অডিয়েন্স (নির্দিষ্ট শ্রোতা) এর ব্যবহার এবং ফেসবুক এই অপশনটি আপনাকে দিচ্ছে। কে বা কারা আপনার ওয়েবসাইট বা আপনার সাইটের নির্দিষ্ট পেজগুলি ভিজিট করে, কারা আপনার পেজ লাইক করেছে এবং তাদের সাথে সম্পর্কিত অন্যদের খবর ও ফেসবুক রাখে! আপনি আপনার টার্গেট ক্রেতা ঠিক করে কাস্টম করুন, অযথা হাজার হাজার মানুষের সামনে পয়সা খরচ করে বিজ্ঞাপন দেওয়ার প্রয়োজন নেই। 

আপনি যদি ব্যবসায়ের আরো বেশি প্রসার চান, তাহলে একটা ই - কমার্স ওয়েবসাইট ও ব্যাবহার করতে পারেন। এজন্য কোন প্রফেশনাল লোকের প্রয়োজন নেই, আপনি নিজেই ই - কমার্স ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট কোর্স করে বানিয়ে ফেলতে পারেন নিজের বিজনেস ওয়েবসাইট।

পরিশেষে বলতে পারি, এই ফেসবুক বিজনেস আইডিয়া কিংবা অনলাইন বিজনেস আইডিয়া গুলি আপনাকে দ্রুত গ্রাহক পেতে সাহায্য করবে ঠিকই কিন্তু সফল ব্যবসা নিশ্চিত করবে আপনার সততা ও কঠোর পরিশ্রম। কাজেই অসৎ উপায়ে রাতারাতি বড়লোক হওয়ায় চিন্তা বাদ দিয়ে সৎ পন্থায় ধীরে ধীরে উন্নতি করুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

4 মন্তব্যসমূহ

Feel free to comment for any query!