Ticker

6/recent/ticker-posts

করোনা ভাইরাস কি? কিভাবে ছড়ায়?- লক্ষণ, প্রতিকার, প্রতিরোধ, ঘরোয়া চিকিৎসা ও যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর

 



সাম্প্রতিক মহামারি করোনা নিয়ে আপনি কি খুবই চিন্তিত? হ্যাঁ এটা চিন্তারই কারণ।
হালকা জ্বর কিংবা কাশি আমাদের জন্য খুবি সাধারণ ব্যাপার । কিন্তু এখন এই লক্ষণগুলোই আপনার সবচেয়ে বেশি ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই না? কেননা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই করোনার কারণে সৃষ্ট রোগ কোভিড–১৯–এর প্রকাশ ঘটে জ্বরের মাধ্যমে।
এমন লক্ষণ দেখা দিলে আপনি কি করবেন? হসপিটালে ছুটে যাবেন ? নাকি কোনো ঘরোয়া ব্যবস্থা নিবেন?
আসুন জেনে নিই এই অবস্থায় আপনার করণীয়গুলো কি হতে পারে। পাশাপাশি এই মহামারি রোগটি সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান থাকাটাও জরুরী।

এই আর্টিকেলে আপনি যা পাবেনঃ
  • করোনাভাইরাস কী?
  • করোনা ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়?
  • করোনা আক্রান্তের লক্ষণ কী?
  • করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করার উপায় কী?
  • করোনার চিকিৎসা কিভাবে করবেন?
  • করোনার ঘরোয়া চিকিৎসা

করোনা অর্থ কি?

স্প্যানিশ ভাষায় করোনা এর শাব্দিক অর্থ ধরা হয় ক্রাউন বা মুকুট। মুকুটের মতই এর বাইরের দিকে কিছু স্পাইক থাকে যার কারনে এটি ক্রাউনের বেশ কাছাকাছিই দেখায়।
যাই হোক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইট অনুযায়ী এই রোগটির নাম করোনাভাইরাস ডিজিজ’ যা COVID-19 হিসেবেই বেশি পরিচিত।

করোনাভাইরাস কি?

COVID-19 এর জন্য দায়ী যেই ভাইরাস এর প্রকোপে আজ পুরো বিশ্ব তোলপাড়, সংক্ষেপে একে করোনাভাইরাস বলে ডাকা হয়।মূলত এর নাম ‘২০১৯ নোভেল করোনাভাইরাস’। সংক্ষেপে 2019-nCoV।

এটি মোটামুটি ১২০ ন্যানোমিটারের একটি ভাইরাস যার মিউটেশন ক্ষমতা অত্যধিক। অর্থাৎ মানবদেহে প্রবেশের পাশাপাশি ভাইরাসটি নিজের জিনগত গঠনেও সবসময় পরিবর্তন আনতে সক্ষম। মূলত এই কারনেই ভাউরাসটি অধিক বিপজ্জনক এবং ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতাও চেলেঞ্জিং হয়ে পড়ছে।

করোনা ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়?

ধারণা করা হয়, মানবদেহে এই ভাইরাস প্রথম প্রবেশ করে প্রাণীর দেহ থেকেই। ভাইরাসযুক্ত রোগীদের কাছ থেকে COVID-19 দ্রুত ছড়াতে পারে। প্রাথমিকভাবে নাক বা মুখ থেকে নির্গত ছোট ড্রপ্লেটের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে।এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির কাশি, হাঁচি এমনকি কথা বলার সময়ও ড্রপ্লেটের মাধ্যমে ভাইরাসটি নির্গত হয়। কোন সুস্থ ব্যক্তি যখন নিঃশ্বাস এর মাধ্যমে ওই ড্রপ্লেটগুল গ্রহণ করে তখন খুব সহজেই ওই ব্যক্তিও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।

এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির চারপাশে বস্তু স্পর্শের মাধ্যমেও এই রোগ ছড়ায়। এই জিনিসগুলি স্পর্শ করে চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করলে যেকোনো ব্যক্তি এতে সংক্রমিত হতে পারে ।
ভাইরাসটি খুবই দ্রুত ছড়ায় তবে তুলনামূলক ভারী বলে খুব বেশি দূর ভ্রমণ করতে পারেনা এবং মাটিতে পড়ে যায়। এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে কমপক্ষে ১ মিটার দূরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

করোনা আক্রান্তের লক্ষণ কি?

COVID-19 এ আক্রান্ত হওয়ার পর সাথে সাথেই এর লক্ষণগুলি প্রকাশ পায়না। সাধারণত পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যে এর প্রকাশ ঘটে। তবে এটি ১ থেকে ১৪ দিনের মধ্যেও হতে পারে।

করোনা ভাইরাস এর সর্বাধিক সাধারণ লক্ষণ হ'লঃ
  • জ্বর
  • কফ ছাড়া শুকনো কাশি
  • ক্লান্তি।

অন্যান্য করোনা উপসর্গ যা রোগীভেদে বিভিন্নভাবে প্রকাশ পায় তার মধ্যে রয়েছেঃ
  • বমি হওয়া
  • শ্বাসকষ্ট
  • গলা ব্যাথা
  • ডায়রিয়া
  • মাথা ব্যাথা
  • পেটের সমস্যা
  • স্বাদ বা গন্ধের ক্ষতি
  • পায়ের আঙ্গুলের বর্ণহীনতা
আক্রান্ত ব্যক্তির অন্য রোগ, যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, হৃদ্‌রোগ, কিডনির সমস্যা, ক্যানসার ইত্যাদি থাকলে অরগ্যান ফেইলিওর বা দেহের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ বিকল হতে পারে।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করার উপায়ঃ

প্রতিষেধক না থাকায় এর প্রতিরোধে সচেতন হওয়াই এখন কার্যকর উপায়। এই মহামারী প্রতিরোধে আপনাকে অবশ্যই এই সতর্কতা এবং বিধি নিষেধগুলো মেনে চলতে হবেঃ
  • ঘন ঘন সাবান ও পানি দিয়ে ভালো করে হাত ধোয়া
  • অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা।
  • ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন—এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা।
  • হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলা।
  • অসুস্থ পশুপাখির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা।
  • মাছ-মাংস ভালোভাবে রান্না করে খাওয়া ।
  • যতটা সম্ভব ঘরে থাকতে হবে, প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না যাওয়া।
  • জনসমাগম এড়িয়ে চলা।
  • এই মুহূর্তে বিদেশ থেকে কেউ এলে তাঁকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
জ্বর বা সর্দি-কাশি হলে ফোনে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে পারেন। এরপরও অবস্থার উন্নতি না হলে বা কারও মধ্যে করোনার লক্ষণ দেখা দিলে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে নাক-মুখ ঢেকে (মাস্ক ব্যবহার) বাড়িতে অপেক্ষা করতে হবে। অবস্থা খারাপ হলে নিকটস্থ সদর হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।


করোনার চিকিৎসা কিভাবে করবেন?

করোনা ভাইরাস নিয়ে এত আতঙ্কের কারণ হচ্ছে , এর যে কয়েকটি প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়েছে এখনও তা মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তাছাড়া এই রোগ খুবই সংক্রামক। আপনি যদি লক্ষণগুলো নিয়ে হাসপাতালে যান তাহলে অন্য রোগীরাও আক্রান্ত হতে পারেন। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন জ্বর হলেই হাসপাতালে ছোটার দরকার নেই। কেননা উপযুক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে অনেকেই এই রোগ কাটিয়ে উঠতে পারছেন।
এমনকি সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) বলছে, সন্দেহভাজন রোগীকে প্রাথমিকভাবে ঘরেই থাকতে হবে।
প্রয়োজনে আইইডিসিআর এর সাথে সহজেই যোগাযোগ করে পরামর্শ নিতে পারেনঃ
  • করোনা কন্ট্রোল রুম- (০১৭০০৭০৫৭৩৭)
  • হটলাইন নম্বর -(০১৯৩৭১১০০১১, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৪৪৩৩৩২২২, ০১৫৫০০৬৪৯০১–০৫)
  • ই-মেইল- iedcrcovid19@gmail.com
  • ফেসবুক পেজ- Iedcr,COVID19 Control Room
এ ছাড়া করোনাসংক্রান্ত তথ্য জানতে বা সহযোগিতা পেতে স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ এবং ৩৩৩ নম্বরে ফোন করতে পারেন।

করোনার ঘরোয়া চিকিৎসা

বিশেষজ্ঞদের মতে করোনার প্রকোপ থেকে বাঁচতে এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল ঘরোয়া চিকিৎসা। COVID-19 এর লক্ষণ দেখা দিলে সাথে সাথে হাসপাতালে না ছুটে নিম্নোক্ত পদ্ধতিগুলো মেনে চলতে পারেনঃ
  • ভিটামিন ‘সি’ জাতীয় খাবার যেমন - লেবু, আমলকি পেয়ারা, অথবা ভিটামিন ‘সি’ ট্যাবলেট খেতে পারেন।
  • গরম পানি দিয়ে গারগেল করা এবং হালকা রং চা বারবার পান করার অভ্যাস করতে পারেন।
  • আদা, লবঙ্গ ও একটা গোলমরিচ পানি মিশিয়ে গরম করে তার সঙ্গে সামান্য মধু বা চিনি দিয়ে চায়ের সঙ্গে পান করতে পারেন।
  • পেটের সমস্যা দেখা দিলে নিমপাতা বেটে সবুজ রসের সঙ্গে এক চামচ হলুদের গুঁড়া পানির সঙ্গে মিশিয়ে সকালে এবং রাতে খেতে পারেন। 
  • নাক ও মুখ দিয়ে গরম পানির ভাপ নেওয়া খুবই কার্যকরী পন্থা। এছাড়া পানির মধ্যে এক ফোঁটা মেন্থল দিলে আরও ভালো ফলাফল পাবেন। 
সাম্প্রতিক কিছু তথ্য অনুযায়ী দেখা যায়,কোন চিকিৎসা ছাড়াই চীনের অনেক করোনা আক্রান্ত রোগী শুধুমাত্র গরম পানির ভাপ দিয়ে এই ভাইরাসকে বিনাশ করতে সক্ষম হয়েছেন।
এজন্য তারা মাত্র ৩টি কাজ করেছেন। 
সেগুলো হল – 
১. তারা দিনে চার বার কেটলি থেকে গরম পানি ভাপ নিয়েছেন। 
২. দিনে চার বার গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করেছেন। 
৩. দিনে চার বার গরম চা পান করেছেন। 

এভাবে টানা ৪ দিন এই ৩টি কাজ করেই ভাইরাসটিকে দমন করতে সক্ষম হয়েছেন তারা। 

করোনা সম্পর্কিত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর: 

কোথায় করোনা টেস্ট করা হয়?

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশে বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৪৯টি প্রতিষ্ঠানে করোনাভাইরাস টেষ্ট করা হয়। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান হলোঃ 
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ 
  • ঢাকা মেডিকেল কলেজ 
  • চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ 
  • খুলনা মেডিকেল কলেজ 
  • রাজশাহী মেডিকেল কলেজ 
  • মুগদা মেডিকেল কলেজ 
  • স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল 
  • কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ 
  • স্কয়ার হাসপাতাল -ল্যাব এইড -শেভরণ 
  • আইইডিসিআর এবং বিআইটিআইডি
সরকারি ও বেসরকারি ব্যাপস্থাপনা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন পয়েন্টে নমুনা সংগ্রহে বুথ স্থাপন করেছে ব্র্যাক।
করোনা ভাইরাস কোথায় কতক্ষণ বাঁচে? 

করোনাভাইরাস কোথায় কতদিন বাঁচে তা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায় নি তবে করোনা সমধর্মী কিছু ভাইরাসের উপর গবেষণা করে দেখা গেছে, এরাঃ
  • বাতাসে ১০ থেকে ৩০ মিনিট টিকে থাকতে পারে 
  • প্লাস্টিক ও স্টেইনলেস স্টিলের উপর ভাইরাসটি ৩ থেকে ৭ দিন বাঁচে 
  • অ্যালুমিনিয়ামে ২ থেকে ৮ ঘন্টা অবধি টিকতে পারে 
  • সিরামিকের মগ,থালা,আসবাব কিংবা কাগজ জাতীয় বস্তুতে ৫ দিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে। টেলিভিশন,কম্পিউটার,মোবাইল স্ক্রিনে ৩ দিন পর্যন্ত বাঁচে 
  • যেকোন ঠান্ডা জায়গায় সর্বোচ্চ ২৮ দিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে।

কিভাবে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করা যায়?

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সবার আগে চাই নিজের সচেতনতা।যতটা সম্ভব সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করতে হবে।ঘরের বাইরে যেতে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে।এসবের পাশাপাশি নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সুষম খাবার,বিশেষ করে এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে।


কিভাবে করোনা টেস্ট করা হয়?

সাধারণত হাসপাতাল বা ল্যাবে এক বা একাধিক পরীক্ষার মাধ্যমে করোনা টেস্ট করা হয়ে থাকে।যেমনঃ 
  • রোগীর নাক এবং গলা থেকে তুলার মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
  • রক্ত এবং থুতু পরীক্ষা করা হয় ।
  • রোগীর নাকে স্যালাইন প্রবেশ করিয়ে তারপর ইনজেকশনের মাধ্যমে সেটি আবার বের করে নিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়  অথবা
  • শ্বাসনালীতে সরু নল প্রবেশ করিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

স্যাভলন দিয়ে কি করোনাভাইরাস মারা যায়?

স্যাভলনজাতীয় পদার্থের বিজ্ঞাপন অনুযায়ী যদিও বলা যায় এগুলো জীবাণু দূর করতে পুরোপুরি কার্যকরী, কিন্তু করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে তা সত্য নয়।বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন করোনাভাইরাসের জীবাণু মারতে স্যাভলন কিংবা ডেটলের চেয়ে সাবান ও পানিই বেশি কার্যকরী। কারণ করোনাভাইরাসের উপরের আবরণটি চর্বি দিয়ে তৈরি।আর সাবানে রয়েছে ক্ষারজাতীয় পদার্থ।তাই সাবানের সংস্পর্শে আসলে ভাইরাসের উপরের আবরণ নষ্ট হয়ে যায় এবং ভাইরাসটি মারা যায়।যে সাবানে ক্ষার যত বেশি সেটি করোনার জীবাণু মেরে ফেলতে তত বেশি কার্যকরী। স্যাভলন হয়তো জীবাণুর পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারে,কিন্তু পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করতে পারে না।

করোনাভাইরাস কত প্রকার?

করোনাভাইরাস আসলে ভাইরাসের অন্যতম একটি শ্রেণী যা স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখিদের আক্রান্ত করে।উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী এই ভাইরাস ৪ প্রকারঃ
  • আলফা করোনাভাইরাস 
  • বেটা করোনাভাইরাস 
  • ডেল্টা করোনাভাইরাস 
  • গামা করোনাভাইরাস 
ভাইরাসের উপরিভাগ প্রোটিন সমৃদ্ধ থাকে যা ভাইরাল স্পাইক পেপলোমার দ্বারা এর অঙ্গসংস্থান গঠন করে। এ প্রোটিন সংক্রমিত হওয়া টিস্যু বিনষ্ট করে।

করোনা কতদিনে ভালো হয়?

করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে কতদিনে সেরে উঠা যাবে তা আসলে নির্দিষ্ট করে বলা যায় না।এটি অনেকাংশেই নির্ভর করে রোগীর বয়স,লিঙ্গ,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং অন্যান্য রোগে আক্রান্তের হারের উপর। সাধারণত মৃদু উপসর্গ হলে ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই সেরে উঠার নজির রয়েছে।নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনেই এই সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠা সম্ভব। তবে গুরুতর অসুস্থ হলে সংক্রমণের অল্প সময়ের মধ্যেই শ্বাসকষ্ট এবং ফুসফুসে জটিলতা দেখা দেয়।এসময় অনেককেই কৃত্রিম প্রযুক্তিতে অক্সিজেন দিতে হয় আবার অনেককেই অবস্থার উপর নির্ভর করে ইনটেনসিভ কেয়ারে নিতে হয়।এ ধরনের রোগীর সেরে উঠতে ২ থেকে ৮ সপ্তাহ কিংবা আরো বেশি সময় লাগতে পারে।

কখন করোনা টেস্ট করাবেন?

করোনাভাইরাসের প্রধাণ লক্ষণগুলো,যেমনঃজ্বর,সর্দিকাশি ইত্যাদি দেখা দিলেই যে করোনা পজিটিভ হয়েছে তা কিন্তু নিশ্চিতভাবে বলা যায় না।তাই কারো মধ্যে করোনার লক্ষণগুলি দেখা দিলে তার প্রথম করণীয় হলো নিজেকে পরিবারের অন্যদের থেকে আলাদা করে নেয়া।তারপর ভাইরাসটির লক্ষণগুলোর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা।ভাইরাসটির অন্যতম কয়েকটি লক্ষণ হলো- জ্বর,সর্দি-কাশি, মাথাব্যথা,গলাব্যাথা,পেটে গন্ডগোল ইত্যাদি। সাধারণত ৮ থেকে ৯ দিনের মধ্যেই এই উপসর্গগুলো কমে যাওয়ার কথা।কিন্তু না কমলে তবে করোনা টেস্ট করানো উচিত।

কিভাবে করোনা পরীক্ষা করাবো?

কারো শরীরে করোনার লক্ষণগুলো দেখা দিলে অনতিবিলম্বে নিকটস্থ সরকার অনুমোদিত হাসপাতাল বা বুথগুলোতে গিয়ে নমুনা দিয়ে আসতে পারেন।এছাড়া তিনি বাসায় বসেও নির্দিষ্ট ফি পরিশোধের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষার সুযোগ পাবেন। উপজেলা পর্যায়ে কারো শরীরে করোনার লক্ষণ দেখা দিলে তিনি যদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাথে যোগাযোগ করেন তবে তাদের মাঠকর্মীরা এসে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

4 মন্তব্যসমূহ

Feel free to comment for any query!